ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজাখালীতে ছৈয়দ নুর চেয়ারম্যান হল যে কারণে

030303_1ছালাম কাকলী :

পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতিকের প্রার্থী ছৈয়দ নুর ৪ হাজার ৪ শত ৪৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মাস্টার আজমগীর চৌধুরী পেয়েছেন ২ হাজার ৮শত ৬৯ ভোট। ছৈয়দ নুর নির্বাচিত হওয়ায় উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের মুখে চুনকালি  পড়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া লোকজনের মাঝে নেমে এসেছে স্বত্বি।

রাজাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ খেটে খাওয়া লোকজনের জনপ্রিয় নেতা ছৈয়দ নুর অন্যায় ও জুলুমবাজদের আতংক। গেল ইউপি নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে বাবুল চেয়ারম্যানের কাছে পরাজিত হন  ছৈয়দ নুর। নির্বাচনে পরাজিত হবার পরও সাধারণ খেটে খাওয়া লোকজনকে ছেড়ে না দিয়ে  গরীব অসহায় লোকজনের দুর্দিনে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। এলাকার অসংখ্য গরীব পরিবারের মহিলাদের বিয়ে দিতে আর্থিকভাবে সাহায্য প্রদান করেছেন। এ কারণে  সাধারণ লোকজন ছৈয়দ নুরের আনারস প্রতিকে ভোট দিয়ে  চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন।

এদিকে জিইসি কেন্দ্র, বকসী ঘোনা কেন্দ্র, সুন্দরী পাড়া কেন্দ্র ও ইয়ার আলী খান উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা ভোট ছিড়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিলেও সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়ে ঐ এলাকায় মজুদ থাকা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এভাবে দিনভর নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে ছৈয়দ নুর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।

এলাকায় লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায় , ছৈয়দ নুরকে প্রতিপক্ষ পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে এলাকায় মিটিং করতে দেয়নি।  ছৈয়দ নুর প্রকাশ্যে ভোট প্রার্থনা করতে না পারলেও এলাকার   আলমগীর, জাহাঙ্গীর ও জামাই বাদশাসহ অসংখ্য শিক্ষিত যুবক এক এক ছৈয়দ নুর হয়ে মাঠে ময়দানে কাজ করায় ছৈয়দ নুরের বিজয় সুনিশ্চিত করতে সক্ষম হন।

পাঠকের মতামত: